হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমরা ভূগোল এর আরও একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মৌসুমি বায়ু কাকে বলে এবং মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য কি কি তা নিয়ে আলোচনা করছি ।
এর আগের পোস্ট এ আমরা ‘ আহ্নিক গতি কাকে বলে? আহ্নিক গতির ফলাফল আলোচনা কর? ‘ তা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম ।
পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে জলবায়ুর ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায় । পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া সব জায়গাতেই উশ্ন-আদ্র ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু লক্ষ্য করা যায় ।
মৌসুমি বায়ু কাকে বলে
মৌসুমি বায়ু প্রবাহের দ্বারা সৃষ্ট জলবায়ুকে মৌসুমি জলবায়ু বলা হয় ।
দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সবচেয়ে বেশী লক্ষ্য করা যায় । মৌসুমি শব্দের উৎপত্তি আরবি শব্দ মউসিন থেকে যার অর্থ হল ‘ঋতু বা কাল’ ।
মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য
১। মৌসুমি বায়ু একটি নির্দিষ্ট সময়েই প্রবাহিত হয়, বছরের অন্য সময়ে এই বায়ুর স্থায়িত্ব থাকে না বলে এই বায়ুকে সাময়িক বায়ু ও বলা হয় ।
২। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাধারণত গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে এবং শীতকাল শীতল ও উষ্ণ প্রকৃতির হয় ।
৩। স্থল ও জলভাগে চাপের তারতম্য জনিত কারণে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়ে থাকে ।
৪। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শৈলৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ।
৫। মৌসুমি বায়ু গ্রীষ্মকালে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে এবং শীতকালে জলভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয় । এই জন্য মৌসুমি বায়ুকে স্থল বায়ু ও সমুদ্র বায়ুর বৃহৎ সংস্করণ বলা হয় ।
৬। মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ অনেক গুলো কারনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে মৌসুমি বায়ু প্রবাহের কোন সুনিশ্চয়তা নেই। তাই কোন কোন বছর মৌসুমি বায়ু সময়ের আগে আবার কোন কোন বছর সময়ের পরে প্রবাহিত হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন –
আহ্নিক গতি কাকে বলে? আহ্নিক গতির ফলাফল আলোচনা কর?
কর্কট সংক্রান্তি রেখা ও মকর সংক্রান্তি রেখা কাকে বলে?
অক্ষরেখা কাকে বলে? |অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?