গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধির প্রভাব গুলি লেখ? HDRip | Dual Audio

হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমরা গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধির প্রভাব গুলি আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করছি । ভূগোল বিষয়ের এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং এই প্রশ্নটি পরীক্ষাতে প্রায়ই এসে থাকে তাই প্রশ্নটি মন দিয়ে পড়ুন এবং বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করুন ।

এর আগের পোস্টে আমরা হুগলি নদীর উভয় তীরে পাট শিল্পের উন্নতির কারণ এই প্রশ্নের উত্তরটি আলোচনা করেছিলাম ।

গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধির প্রভাব

বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরের গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধির প্রধান ফলাফল হল পৃথিবী জুড়ে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি যা বিশ্ব উষ্ণায়ন নামে পরিচিত । পৃথিবীর এই রুপ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কু-প্রভাব পরিবেশে লক্ষ্য করা যায় ।

১) জলবায়ুর পরিবর্তন- পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ার ফলে, পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটেছে । এছাড়া শীতের প্রকোপ ও কমেছে ও গ্রীষ্মের প্রকোপ বেড়েছে । ঋতুগুলোর অনিয়মিত আগমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।

২) উদ্ভিদের বিনাশ- তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ, ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ ধ্বংস হবে এবং দাবানলের সংখ্যাও বাড়বে ।

৩) সমুদ্রজলের উষ্ণতা বৃদ্ধি- বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রজলের গড় উষ্ণতা ক্রমশ বাড়ছে এর ফলে সমুদ্র জলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণের পরিমাণ কমেছে ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছে ।

৪) জীববৈচিত্র্য ধ্বংস– বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে অসংখ্য প্রাণী ও উদ্ভিদ চিরতরে হারিয়ে যাবে ।

৫) বরফ ও হিমবাহের গলন- তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বরফ, জলে ভাসমান হিমশৈল ও পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহ গলতে শুরু করেছে । তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য হিমালয়ের অমরনাথ গুহায় বরফের শিবলিঙ্গের উচ্চতা কমে গেছে ।

৬) জলের জোগানের ঘাটতি- তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বাষ্পীভবন দ্রুততর হবে, ফলে ভূপৃষ্ঠে হ্রদ, নদী জলাশয়ের জলের পরিমাণ কমবে এছাড়া মৃত্তিকার আদ্রতার পরিমাণ হ্রাস পেলে ভূ-গর্ভে জলের টান পড়বে ।

গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণ কি?

১) জীবাশ্ম জ্বালানীর দহন– বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানী যেমন- কাঠ, কয়লা প্রভৃতির প্রচুর পরিমাণে জ্বালানী ঘটছে । কলকারখানা, তাপবিদ্যুৎ কারখানা প্রভৃতি জায়গায় প্রচুর পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যাবহার করা হয় যা গ্রিন হাউস গ্যাসের সৃষ্টি করে ।

২) কৃষিজমিতে নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ– নাইট্রোজেন সার প্রচুর পরিমাণে গ্রিন হাউস গ্যাস ঘটায় । কৃষিক্ষেত্রে পোকা মাকড়ের হাথ থেকে রক্ষা পেতে কৃষিজমিতে নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ করা হয় ।

৩) অরন্য বিনাশ- অরণ্যের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসছে এবং প্রচুর পরিমাণে গাছ কাটা হচ্ছে । অরণ্যের পরিমাণ কমে যাওয়ায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ ও বেড়েই চলেছে ।

৪) জৈব আবর্জনার পচন- বর্তমানে আমরা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস অনেক ব্যাবহার করি এবং এই প্লাস্টিক পচনশীল নয় । এছাড়া নানা ধরণের জৈব আবর্জনা পচে, মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহের পচন ও গবাদি পশুর মলমূত্র থেকে প্রচুর পরিমানে মিথেন গ্যাস বাতাসে মিশে যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের সৃষ্টি হয় ।

৫) ক্লোরোফ্লূরো কার্বনের ব্যাবহার- এসি, ফ্রিজ ইত্যাদিতে সি এফ সি গ্যাসের ব্যাবহার করা হয় যার ফলে বাতাসে সি এফ সি গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । এছাড়া রং শিল্প ও ইলেক্ট্রনিক শিল্পেও প্রচুর পরিমাণে সি এফ সি গ্যাস ব্যাবহার করা হয় ।

আরও পড়ুন-

কার্স্ট অঞ্চলে সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ গুলি আলোচনা কর

আগ্নেয় পর্বত কাকে বলে, উৎপত্তি, প্রকারভেদ এবং বৈশিষ্ট্য

ভৌমজল কাকে বলে? | ভৌমজলের গুরুত্ব আলোচনা কর?